পরশু রাজুর ফাঁসি। এতদিন মনমরা হয়ে বসেছিল। এখন কিছুই মনে হচ্ছে না। না ভালো, না খারাপ, কেমন একটা অদ্ভুত শুন্যতায় ঢেকে গেছে মনটা। এই বেশ. গতকাল বোন এসেছিলো। মা আসার কথা করেও আসেনি। আস্তে পারেনি। একমাত্র ছেলেকে এ অবস্থায় দেখা পঞ্চাশঊর্ধ মার্ পক্ষে সম্ভব ছিল না। শুনানির আগে প্রতিদিন আস্ত। তবে পরে আর নয়। বোন বোরো ভাইয়ের দিকে আধ ঘন্টা তাকিয়ে ছিল কেবল। বলেনি সেরম কিছু। ফাঁসি ঘোষণার পরে হটাৎ বাড়ির লোকজন, পাড়া প্রতিবেশী সব কেমন চুপ হয়ে গেলো। গ্রামে অবশ্য ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিছিল আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সে খবর সেলিম সাহেব তাকে কিছু দিন আগেই দিয়েছিলো। লোকটি বেশ ভালো। ফাঁসুড়ের কাজ করেন। বছর কুড়ি আগে কোন ধর্ষণকারীকে 'ঝুলিয়ে' ছিলেন তিনি। কাউকে ঘৃণা করেন না। কিছু মানেন না। কালী ভক্ত। রাতে নেশার ঘরে বাউল গীতি ধরেন। রাজুর উনি একমাত্র বন্ধু। আগে খুব ভয় পেতো রাজু সেলিম ভাই কে। পরে উনি বোঝালেন যে ঠিক সময় মালের বা আফিমের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ইনজেকশন এর থেকেও নাকি কম লাগে। উনি ছাই জানেন, মরেছেন নাকি কখনো? তবে অন্য উপায় ও নেই রাজুর। কয়েক সপ্তাহ ...
Confessions of n00bs